জনমত নিউজ ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে কামরুল ইসলাম (১০) ও শিফা আক্তার (১৪) নামের দুই ভাই-বোনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।
ভগ্নিপতির ওপর প্রতিশোধ নিতে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে জবাই করে হত্যা আপন মামা বাদল মিয়া। ইতিমধ্যে ঘাতক বাদলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গত সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার সলিমাবাদের সাহেবনগর গ্রামে নিজ বাড়ির পৃথক দুইটি কক্ষের খাটের নিচ থেকে দুইটি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কামরুল ইসলাম ও শিফা আক্তার ওই এলাকার কামাল উদ্দিনের সন্তান।
ঘটনার পর থেকে নিহতদের মামা সন্দেহভাজন বাদল মিয়া পলাতক ছিল। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবারে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে সে।
গ্রেফতারের পর নিহতদের মামা বাদল মিয়া পুলিশকে জানায়, বাদল মিয়া বাইরাইন প্রবাসী ছিলেন। গত মার্চ মাসে বাদল মিয়া বাহরাইন থেকে দেশে আসার পর করোনা মহামারীর কারণে আর বিদেশ যেতে পারেনি। গোষ্ঠীগত দাঙ্গায় মামলার আসামী হওয়ায় কুমিল্লা থেকে বাঞ্ছারামপুরে ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।
সে বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য তার ভগ্নিপতি কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়। এরমধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। এজন্য সপ্তাহখানেক আগে বাদল মিয়াকে থাপ্পড়ও মারেন কামাল উদ্দিন। সেই রাগে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দুই সন্তানকে হত্যা করে সে।
এই ঘটনায় নিহতদের পিতা কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদকে।